বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ
April 24, 2021

বাংলাদেশের বিভিন্ন খনির কাজ করে কোন দেশীয় সংস্থা?
উত্তর: BAPEX (বাপেক্স) Bangladesh Petroleum Exploration & Production Company Limited.
BAPEX কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৮৩ সালে।
দেশের প্রথম লোহার খনি কোথায় আবিষ্কৃত হয়?
উত্তর: দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামে।
দেশের প্রথম লোহার খনির সন্ধান পায় কারা?
উত্তর: বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (GSB)
দেশের প্রথম লোহার খনি কবে আবিষ্কার করা হয়?
উত্তর: ২৬ মে ২০১৯ GSB এর কর্মকর্তারা খনির আভাস দেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৮ জুন ২০১৯ খনির কথা নিশ্চিত করেন।
দেশের প্রথম লোহার খনি কোথায় আবিষ্কৃত হয়?
উত্তর: দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামে।
দেশের প্রথম লোহার খনির সন্ধান পায় কারা?
উত্তর: বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (GSB)
দেশের প্রথম লোহার খনি কবে আবিষ্কার করা হয়?
উত্তর: ২৬ মে ২০১৯ GSB এর কর্মকর্তারা খনির আভাস দেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৮ জুন ২০১৯ খনির কথা নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ কি?
উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাস।
বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত 'জীবাশ্ম জ্বালানি' কি কি?
উত্তর: কয়লা, পেট্রোল ও প্রাকৃতিক গ্যাস।
বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কি?
উত্তর: মিথেন।
বর্তমানে দেশে মোট গ্যাসক্ষেত্র কয়টি?
উত্তর: ২৯ টি।
কয়টি গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ বা স্থগিত?
উত্তর: ৩টি (ছাতক, কামতা ও সাঙ্গু)।
দেশে আবিষ্কৃত গ্যাসের মোট মজুদ কত?
উত্তর: ৩৯.৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। (২০১৮)
দেশে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদের পরিমাণ কত?
উত্তর: ২৭.১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। (২০১৮)
গ্যাস উত্তোলনের জন্য সমগ্র দেশকে কয়টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর: ২৩ টি ব্লকে।
বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয় কোথায়?
উত্তর: সিলেটের হরিপুরে।
বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৫৫ সালে।
বাংলাদেশে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৫৭ সালে।
হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্রে কয়টি গ্যাসকূপ খনন করা হয়েছে?
উত্তর: ৭ টি।
বাংলাদেশে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
উত্তর: ২২ ডিসেম্বর, ১৯৮৬ সালে।
বাংলাদেশে প্রথম খনিজ তেল আবিষ্কৃত হয় কোথায়?
উত্তর: সিলেটের হরিপুরে।
বাংলাদেশের বড় গ্যাসক্ষেত্র কোনটি?
উত্তর: তিতাস।
তিতাস গ্যাসক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলন করা হয় কোন গ্যাসক্ষেত্র থেকে?
উত্তর: তিতাস।
ঢাকা শহরে গ্যাস সরবরাহ করা হয় কোন গ্যাস ক্ষেত্র থেকে?
উত্তর: তিতাস গ্যাসক্ষেত্র থেকে।
গ্যাস সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কোন ক্ষেত্রে?
উত্তর: বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে কয়টি গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে?
উত্তর: ২টি (সাঙ্গু ও কুতুবদিয়া)।
দেশের প্রথম সামুদ্রিক গ্যাসক্ষেত্রটির নাম কি?
উত্তর: সাঙ্গু।
সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্রটি কত নং ব্লকে পড়েছে?
উত্তর: ১৬ নং।
সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড থেকে কবে সরাসরি জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হয়?
উত্তর: ১২ জুন, ১৯৯৮ সালে।
সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড থেকে কোন সংস্থা গ্যাস উত্তোলন করে?
উত্তর: কেয়ার্ন এনার্জি।
সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড থেকে কত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়?
উত্তর: ২০১৯ সালে গড়ে ৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট।
বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: কুমিল্লা।
সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্রটির নাম কি?
উত্তর: ভোলা গ্যাস ক্ষেত্র।
মোবারকপুর গ্যাস ক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: সুজানগর, পাবনা।
রূপগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে কোন সংস্থা?
উত্তর: বাপেক্স।
রুপগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্র কত নং ব্লকে অবস্থিত?
উত্তর: ৯ নং ব্লকে।
শ্রীকাইল গ্যাস ক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: কুমিল্লা।
শ্রীকাইল গ্যাস ক্ষেত্র কত নং ব্লকে অবস্থিত?
উত্তর: ৯ নং ব্লকে।
শ্রীকাইল গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে কোন সংস্থা?
উত্তর: বাপেক্স।
শ্রীকাইল গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয় কবে?
উত্তর: ২০ এপ্রিল, ২০১৩ সালে।
ভাঙ্গুরা গ্যাস ক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: কুমিল্লার মুরাদনগর।
ভাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্রটি কত নং ব্লকে পড়েছে?
উত্তর: ৯ নং ব্লকে।
সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: নোয়াখালী।
সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয় কবে?
উত্তর: ১৭ মার্চ, ২০১২ সালে।
সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে কোন সংস্থা?
উত্তর: বাপেক্স।
মাগুরছড়া গ্যাস ক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটে কবে?
উত্তর: ১৪ জুন, ১৯৯৭ সালে।
মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার।
মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্র খনন করে কোন কোম্পানি?
উত্তর: অক্সিডেন্টাল।
আক্সিডেন্টাল কোন দেশের কোম্পানি?
উত্তর: যুক্তরাষ্ট্র।
দেশের কোন পরিত্যক্ত গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে?
উত্তর: ফেনী গ্যাসক্ষেত্রে।
টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ।
টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটে কবে?
উত্তর: ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন, ২০০৫ সালে।
টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে কর্মরত কোম্পানি কোনটি?
উত্তর: নাইকো।
নাইকো কোন দেশের কোম্পানি?
উত্তর: কানাডিয়ান।
দেশে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তেল উৎপাদন শুরু হয় কবে?
উত্তর: ১৯৮৭ সালে।
তেল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কবে?
উত্তর: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪ সালে।
দেশে একমাত্র তেল শোধনাগার কোনটি?
উত্তর: ইস্টার্ন রিফাইনারী লিঃ ।
দেশে একমাত্র তেল শোধনাগার কোম্পানি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়।
বাংলাদেশে চীনা মাটি পাওয়া যায় কোথায়?
উত্তর: নেত্রকোনার বিজয়পুর, নওগাঁর পত্নীতলা ও চট্টগ্রামের পটিয়ায়।
বাংলাদেশের কোথায় কোথায় চুনাপাথর খনি আছে?
বা
বাংলাদেশে চুনাপাথর পাওয়া যায় কোথায়?
উত্তর: সিলেটের টেকেরহাট, ভাঙ্গারহাট জাফলং, লালঘাট ও বাগলিবাজার, জয়পুরহাট, কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ও নওগাঁর বদলগাছিতে।
বাংলাদেশের কোথায় কোথায় কয়লা খনি আছে?
বা
বাংলাদেশ কয়লা পাওয়া যায় কোথায়?
উত্তর: দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া, দিঘী পাড়ায় ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা, জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ, পাঁচবিবি, নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, সিলেটের লালঘাট ও টেকেরহাট, ফরিদপুরের চান্দা ও রাখিয়া বিল, খুলনার কোলা বিল।
বাংলাদেশে সিলিকা বালি পাওয়া যায় কোথায়?
উত্তর: হবিগঞ্জের শাহজীবাজার, জামালপুরের বালিঝুরিও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।
বাংলাদেশে কঠিন শিলা পাওয়া যায় কোথায়?
উত্তর: রংপুর জেলার বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া।
বাংলাদেশে খনিজ তেল পাওয়া যায় কোথায়?
উত্তর: সিলেটের হরিপুরে।
বাংলাদেশের বড় কয়লা খনি কোনটি?
উত্তর: দিনাজপুর জেলার দীঘিপাড়া।
দেশে আবিষ্কৃত সর্বশেষ কয়লা খনি কোথায়?
উত্তর: নওগাঁ।
বাংলাদেশের কোথায় গন্ধকের সন্ধান পাওয়া যায়?
উত্তর: কুতুবদিয়ায়।
বাংলাদেশের কোন কয়লা খনিতে সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
উত্তর: দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কয়লা খনিতে।
বাংলাদেশের কোন কয়লা খনিতে রুপা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
উত্তর: দীঘিপাড়া ও নওগাঁর পত্নীতলা।
বাংলাদেশের কোন কয়লা খনিতে দস্তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
উত্তর: দিনাজপুরের মধ্যপাড়া।
বাংলাদেশের কোথায় ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে?
উত্তর: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া পাহাড়ে।
বাংলাদেশের কোথায় তেজস্ক্রিয় বালি আছে?
উত্তর: কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে।
তেজস্ক্রিয় বালির নাম কি?
উত্তর: ইলমেনাইট।
বাংলাদেশের কোথায় কোথায় তেজস্ক্রিয় খনিজ পদার্থ পাওয়া গেছে?
উত্তর: কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে।
দেশে পাওয়া তেজস্ক্রিয় খনিজ পদার্থগুলো কি কি?
উত্তর: জিরকন, মোনাজাইট, রিওটাইল, ইলমেনাইট, লিউকক্সিন, কায়ানাইট, গার্নেট ও ম্যাগনেটাইট ইত্যাদি।
Black Gold বা 'কালো সোনা' কি?
উত্তর: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ও সেন্ট মার্টিনে পাওয়া তেজস্ক্রিয় খনিজ পদার্থগুলোকে Black Gold বা 'কালো সোনা' বলা হয়।
চীনা মাটির সন্ধান পাওয়া যায় কোথায়?
উত্তর: বিজয়পুরে (নেত্রকোনা)।
দেশে প্রাপ্ত সবচেয়ে উন্নত মানের কয়লার নাম কি?
উত্তর: বিটুমিনাস কয়লা।
বাংলাদেশের কোথায় উন্নতমানের কয়লা পাওয়া গেছে?
উত্তর: জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি আবিষ্কৃত হয় কবে?
উত্তর: ১৯৮৫ সালে।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির আয়তন কত?
উত্তর: ৬.৬৮ বর্গ কিলোমিটার।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির মোট কয়লা মজুদের পরিমাণ কত?
উত্তর: ৩৯০ মিলিয়ন মেট্রিক টন।
বড় পুকুরিয়া কয়লাখনিতে কোন শ্রেণীর কয়লা পাওয়া গেছে?
উত্তর: বিটুমিনাস।
বড় পুকুরিয়া কয়লাখনির প্রকল্প ব্যয় কত?
উত্তর: ২৫১.০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দেশের প্রথম কয়লা শোধনাগার কোনটি?
উত্তর: বিরামপুর হার্ড কোল লি।
'বিরামপুর হার্ড কোল লি'-এর অবস্থান কোথায়?
উত্তর: দিনাজপুর।