ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা

ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা । Original photo: Getty Images
অক্ষরেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীর কেন্দ্র বরাবর উত্তর থেকে দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষরেখা বা মেরুরেখা বলে। অক্ষরেখা পৃথিবীকে কেন্দ্র থেকে পূব ও পশ্চিমে ভাগ করে।

অক্ষাংশ কাকে বলে?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা থেকে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণে কোনো স্থানের কৌণিক দুরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়।

নিরক্ষরেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে বলা হয় নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে মাঝ বরাবর উত্তর ও দক্ষিণ অংশে বিভক্ত করে।

নিরক্ষরেখার আরেক নাম কি?
উত্তরঃ বিষুবরেখা।

নিরক্ষররেখার দক্ষিণ দিকের অংশকে কি বলে?
উওরঃ দক্ষিণ গোলার্ধ।

পৃথিবীর বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণের মান কত?
উওরঃ ৩৬০° ডিগ্রি।

নিরক্ষরেখার মান কত?
উওরঃ ০°।

মূল মধ্যরেখার মান কত?
উওরঃ ০°।

মকরক্রান্তি রেখা কাকে বলে?
উওরঃ ২৩.৫° দক্ষিণ অক্ষাংশে অবস্থিত রেখাকে মকরক্রান্তি রেখা বলে।

কর্কটক্রান্তি রেখা কাকে বলে?
উওরঃ ২৩.৫° উওর অক্ষাংশে অবস্থিত রেখাকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে।

সুমেরু বৃত্ত অক্ষাংশ কাকে বলে?
উত্তরঃ ৬৬.৫° উওর অক্ষাংশকে সুমেরু বৃত্ত অক্ষাংশ বলে।

কুমেরু বৃত্তের অক্ষাংশ কাকে বলে?
উত্তরঃ ৬৬.৫° দক্ষিণ অক্ষাংশকে কুমেরু বৃত্ত অক্ষাংশ বলে।

উচ্চ অক্ষাংশ কাকে বলে?
উত্তরঃ ৬০° থেকে ৯০° অক্ষাংশকে উচ্চ অক্ষাংশ বলে।

মধ্যাহ্নে সূর্যের উন্নতি কোণ পরিমাণ করা হয় কোন যন্ত্রের মাধ্যমে?
উওরঃ সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের মাধ্যমে।

অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায় কিসের মাধ্যমে?
উওরঃ সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের মাধ্যমে।

দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ মূলমধ্যরেখা থেকে নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর মেরু  থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে সকল রেখা কল্পনা করা হয় তাকে দ্রাঘিমারেখা বলে।

দ্রাঘিমাংশ কাকে বলে?
উত্তরঃ স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার কেন্দ্রে পূর্বে বা পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের কোন বিন্দু নিরক্ষরেখার সাথে উল্লম্ব কোন পরিধির সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে উত্তর ও দক্ষিণ মেরুকে ছেদ করে তাকে দ্রাঘিমাংশ বলে।

কোনো স্থানের সূর্য যখন মাথার ওপর থাকে তখন ঐ স্থানের সময় ধরা হয়?
উওরঃ দুপুর ১২ টা।

প্রমাণ সময় কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো দেশের বা গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রান্ত দ্রাঘিমার মানের উপর ভিত্তি করে যে সময় নির্ণয় করা হয় তাকে প্রমাণ সময় বলে।

স্থানীয় সময় কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো স্থানের সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে যে সময় নির্ধারণ করা হয় তাকে স্থানীয় সময় বলে।

১° (১ ডিগ্রী) দ্রাঘিমা পার্থক্যের জন্য সময়ের ব্যবধান কত?
উওরঃ ৪ মিনিট।

পৃথিবীর প্রমাণ সময় ঠিক করা হয় কিসের ভিত্তিতে?
উওরঃ গ্রিনিচ দ্রাঘিমার।

গ্রিনিচ শহর কোথায় অবস্থিত?
উওরঃ যুক্তরাজ্যে।

গ্রিনিচের সময়ের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য কত?
উওরঃ ৬ ঘন্টা আগে।

আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ ১৮০° পূর্ব ও পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে।

প্রশান্ত মহাসাগরের উপর ১৮০° মধ্যরেখা বরাবর কল্পিত রেখাটিকে কি বলে?
উওরঃ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।

দিন ও তারিখের পরিবর্তন হয় কিভাবে?
উওরঃ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অতিক্রম করলে।

প্রতিপাদ স্থান কাকে বলে?
উওরঃ ভূ-পৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর ঠিক বিপরীত বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে।

প্রতিপাদ স্থান দুটির মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?
উওরঃ ১২ ঘন্টা।

ঢাকার প্রতিপাদ স্থান কোথায় অবস্থিত?
উওরঃ দক্ষিণ আমেরিকার চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে।

একটি স্থানের দ্রাঘিমা ৬০° পশ্চিম হলে প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা কত হবে?
উওরঃ ১২০° পূর্ব।

১৮০° দ্রাঘিমান্তরের জন্য সময়ের পার্থক্য কত?
উওরঃ ১২ ঘন্টা।

উওর মেরুতে ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ কত?
উওরঃ ৯০°।