মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য: মঙ্গলকাব্য

মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্য: মঙ্গলকাব্য
মঙ্গলকাব্য কি?
উত্তর: যে কাব্য সংগীত মঙ্গলসুরে গাওয়া হয় অথবা যে কাব্য সংগীত যাত্রা, মেলায় গাওয়া হয় তাই মঙ্গলকাব্য।

মঙ্গলকাব্য কোন যুগের সাহিত্যের নিদর্শন?
উত্তর: মধ্যযুগের।

মঙ্গলকাব্যের প্রধান শাখা কয়টি?
উওর: তিনটি।

মঙ্গলকাব্যের শাখা গুলো কি কি?
উত্তর: মনসা মঙ্গলকাব্য, চন্ডী মঙ্গলকাব্য ও অন্নদামঙ্গল কাব্য।

একটি সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যের সাধারণ অংশ থাকে কয়টি?
উওর: পাঁচটি। যথা: বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখন্ড, মর্ত্যখন্ড ও শ্রুতিফল।

মঙ্গলকাব্য কোন ছন্দে রচিত?
উত্তর: পয়ার ছন্দ।

মঙ্গলকাব্যে কত জন কবির সন্ধান পাওয়া যায়?
উওর: ৬২জন।

মঙ্গলকাব্যে কোন দুই দেবতার প্রাধান্য বেশি?
উত্তর: মনসা ও চন্ডি।

মঙ্গলকাব্য লেখার মূল কারণ কি?
উত্তর: স্বপ্নে দেবী কতৃক আদেশ।

মঙ্গলকাব্য কত বছর ধরে রচিত হয়?
উত্তর: প্রায় ৫০০ বছর।

মনসা মঙ্গলকাব্য:

মনসা মঙ্গলকাব্যের আদি কবি কে?
উওর: কবি কানা হরি দত্ত।

মনসা মঙ্গলকাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
উত্তর: বিজয় গুপ্ত।

মনসা মঙ্গলকাব্য গুলোকে কি নামে অভিহিত করা হয়?
উওর: পদ্মপুরাণ নামে।

মঙ্গলকাব্যের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ধারা কোনটি?
উত্তর: মনসা মঙ্গলকাব্য।

মনসা মঙ্গলকাব্যের প্রধান আখ্যান কি?
উত্তর: চাঁদ সওদাগরের মনসা বিরূপতা থেকে মনসা দেবীর অলৌকিক শক্তির প্রভাব স্বীকার করে তাঁর বশ্যতা স্বীকার করাই মনসা মঙ্গলকাব্যের প্রধান আখ্যান।

সাপের অধিষ্ঠার্থী দেবী কে?
উত্তর: মনসা।

মনসা দেবীর অপর নাম কি?
উত্তর: পদ্মাবতী ও কেতকা।

মনসা মঙ্গলকাব্যোর উল্লেখ্যযোগ্য কবি কে কে?
উত্তর: কানা হরিদত্ত, বিজয়গুপ্ত, নারায়ন দত্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই ও কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ।

বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগে সবচেয়ে প্রতিবাদী চরিত্র কে?
উত্তর: চাঁদ সওদাগর।

মনসা মঙ্গলকাব্যের প্রধান চরিত্র গুলো কি কি?
উত্তর: দেবী মনসা, চাঁদ সওদাগর, সনকা, লক্ষীন্দর, বেহুলা ও নেতাই ধোপানী।

মনসাবিজয় কে রচনা করেন?
উওর: বিপ্রদাস পিপিলাই ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে।

বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগে সবচেয়ে পতিপ্রাণা চরিত্র কে?
উত্তর: বেহুলা।

চন্ডী মঙ্গলকাব্য:

চন্ডী মঙ্গলকাব্য কি?
উত্তর: দেবী চন্ডীর কাব্যিক আখ্যান বর্ণীত গ্রন্থ।

চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে?
উওর: কবি মানিক দত্ত।

কবি মানিক দত্ত কোন শতকের কবি?
উত্তর: চতুর্দশ শতকের কবি।

চন্ডীমঙ্গল কাব্য ধারার প্রধান কবি কে?
উওর: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।

মধ্যযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি কে?
উত্তর: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।

মধ্যযুগের সবচেয়ে ষড়যন্ত্রকারী চরিত্র কোনটি?
উত্তর: ভাড় দত্ত।

চন্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান কবি কে কে?
উত্তর: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, মানিক দত্ত ও দ্বিজমাধব।

কার পৃষ্ঠপোষকতায় মুকুন্দরাম চন্ডী মঙ্গলকাব্য রচনা করেন?
উত্তর: রঘুনাথ রায়।

ধর্মমঙ্গল কাব্য:

ধর্মমঙ্গল কি?
উত্তর: ধর্মঠাকুরের মাহাত্ম্য বর্ণনা করে যে আখ্যান রচিত হয়েছে তাই ধর্মমঙ্গল কাব্য। পশ্চিমবঙ্গের ডোম সমাজে এই দেবতার পূজা করা হয়।

ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে?
উত্তর: ময়ূর ভট্ট।

অন্নদামঙ্গল কাব্য:

অন্নদামঙ্গল কাব্য কি?
উত্তর: দেবী অন্নদার মাহাত্ম্য প্রচারে ভবানন্দ মজুমদারের জীবন নিয়ে রচিত কাব্য আখ্যান হচ্ছে অন্নদামঙ্গল কাব্য।

অন্নদামঙ্গল কাব্যের প্রধান কবি কে?
উত্তর: ভারতচন্দ্র রায়।

নবদ্বীপের মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সভাকবি কে ছিলেন?
উত্তর: ভারতচন্দ্র রায়।

ভরতচন্দ্র রায় কার পৃষ্ঠপোষকতায় অন্নদামঙ্গল কাব্য রচনা করেন?
উত্তর: নবদ্বীপের মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়।

অন্নদামঙ্গল কাব্য রচিত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে।

অন্নদামঙ্গল কাব্য কয়টি খন্ডে বিভক্ত?
উত্তর: ৩টি। যথা: ১. অন্নদামঙ্গল, ২. বিদ্যাসুন্দর ও ৩. মানসিংহ।

অন্নদামঙ্গলের উল্লেখযোগ্য চরিত্র কি কি?
উওর: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ঈশ্বরী পাটনী ইত্যাদি।

মধ্যযুগের শেষ কবি কে?
উত্তর: ভারতচন্দ্র রায়।

“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”– উক্তিটি কোন কাব্যগ্রন্থে অন্তর্গত?
উত্তর: অন্নদামঙ্গল কাব্য।

“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন”–উক্তিটি কোন কাব্যগ্রন্থে অন্তর্গত?
উত্তর: অন্নদামঙ্গল কাব্য।