বক্সারের যুদ্ধের ইতিহাস, কারণ ও ফলাফল
April 25, 2021
সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর বাংলার সিংহাসন আরোহণ করেন কে?
উত্তর: মীর জাফর।
মীর জাফর দেউলিয়া হয়ে পড়েন কেন?
উত্তর: কোম্পানির প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে।
ইংরেজদের বিতাড়নের জন্য মীর জাফর কাদের সাথে সন্ধি করেন?
উত্তর: ওলন্দাজদের সাথে।
মীর জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় কেন?
উত্তর:
• কোম্পানিকে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায়।
• মীর জাফরের অযোগ্যতায়।
• ওলন্দাজদের সাথে সন্ধি করায়।
মীর জাফরকে কে কতসালে ক্ষমতাচ্যুত করেন?
উত্তর: ইংরেজ গভর্নর ভান্সিটার্ট ১৭৬০ সালে মীর জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।
মীর জাফরের পর বাংলার সিংহাসনে কে বসেন?
উত্তর: মীর কাসিম।
মীর কাসিম কত সালে নবাব নিযুক্ত হন?
উত্তর: ২০ অক্টোবর, ১৭৬০ সালে।
বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে মুঙ্গেরে স্থানান্তর করেন কে?
উত্তর: মীর কাসিম।
ইংরেজরা পাটনা কুঠির দখল করে নেয় কত সালে?
উত্তর: ১৭৬৩ সালে।
কোলকাতা কাউন্সিল মীর কাসিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন কত সালে?
উত্তর: ১৭৬৩ সালে।
মীর কাসিম বাংলার রাজধানী স্থানান্তর করেন কোথায়?
উত্তর: মুঙ্গেরে।
মীর কাসিম কোন যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় লাভ করেন?
উত্তর: গিরিয়া, কাটোয়া ও উদয়নালার যুদ্ধে।
মীর জাফর পুনরায় বাংলার সিংহাসনে বসেন কখন?
উত্তর: ১৭৬৩ সালে ইংরেজ বাহিনীর কাছে নবাব মীর কাসিমম গিরিয়া, কাটোয়া ও উদয়নালার যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর।
বক্সারের যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়?
উওর: ২২ অক্টোবর, ১৭৬৪ সালে।
বক্সারের যুদ্ধের সময় বাংলার নবাব কে ছিলেন?
উত্তর: মীর জাফর।
বক্সারের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উত্তর: ইংরেজদের সাথে মীর কাসিম ও তার মিত্রবাহিনীর মধ্যে বক্সারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
বক্সারের যুদ্ধের কারণ সমূহ কি কি?
উত্তর:
• ক্ষমতা আরোহণের পর মীর কাসিমের স্বাধীন ভাবে শাসন কার্য পরিচালনা করতে চাওয়া।
• ইংরেজদের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে চাওয়া।
• ইংরেজদের সম্ভাব্য আক্রমন প্রতিহত করা।
• সৈন্যদের ইউরোপীয় সামরিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের জন্য দুইজন ইউরোপীয় প্রশিক্ষক নিয়োগ।
• রাজধানীতে কামান, বন্দুক ইত্যাদি তৈরির ব্যবস্থা গ্রহণ।
• ইংরেজদের প্রতি অধিক আগ্রহের ফলে বিহারের শাসনকর্তা রামনারায়ণকে ক্ষমতাচ্যুত ও তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।
• আন্তঃবাণিজ্য শুল্ক উঠিয়ে দেওয়ায় ইংরেজদের একচেটিয়া লাভজনক ব্যবসায় অসুবিধা হয়। যার ফলে ইংরেজদের সাথে সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়ে।
• নবাবের গৃহীত পদক্ষেপ গুলো ছিল দেশ ও জনগণের স্বার্থে ও ইংরেজদের স্বার্থপরিপন্থী।
• ইংরেজদের পাটনা কুঠির অধ্যক্ষ এলিস দখল।
• কোলকাতা কাউন্সিলের যুদ্ধ ঘোষণা।
• গিরিয়া, কাটোয়া ও উদয়নালার যুদ্ধে নবাব মীর কাসিমের শোচনীয় পরাজয়।
বক্সারের যুদ্ধের সময় মুঘল সম্রটা কে ছিলেন?
উত্তর: শাহ আজম।
বক্সারের যুদ্ধের সময় অযোধ্যার নবাব কে ছিলেন?
উত্তর: নবাব সুজাউদ্দৌলা।
বক্সারের যুদ্ধে মীর কাসিম কাদের সাথে সম্মিলিত মিত্র বাহিনী গড় তুলেন?
উত্তর: মুঘল সম্রাট শাহ আজম ও অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলার সাথে।
বক্সার নামক স্থানটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ভারতের বিহারে।
বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর মেজর কে ছিলেন?
উত্তর: মনরোর।
কোন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব উদ্ধারের শেষ চেষ্টা ব্যর্থ হয়?
উত্তর: বক্সারের যুদ্ধে মীর কাসিম পরাজয়ের মধ্য দিয়ে।
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন কত সালে ও কার কাছ থেকে?
উত্তর: ১৭৬৫ সালে মুঘল সম্রাট শাহ আজমের কাছ থেকে।
বক্সারের যুদ্ধের ফলাফল কি?
উত্তর:
• স্বাধীনতা রক্ষার শেষ চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
• মীর কাসিম ও তার মিত্র সম্রাট শাহ আলম, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলার শোচনীয় পরাজয়।
• উপমহাদেশে ইংরেজদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ও মর্যাদা বৃদ্ধি।
• পরাজিত হওয়ার পর সুজাউদ্দৌলা রেহিলাখন্ডে পালিয়ে যায়, মীর কাশিম আত্মগোপন করেন এবং সম্রাট শাহ আলম ইংরেজদের পক্ষে যোগ দেন।
• ইংরেজরা নবাব সুজাউদ্দৌলার কাছ থেকে কারা ও এলাহাবাদ হস্তান্তর করেন এবং সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন।
• বাংলায় ইংরেজ অধিকার আইনত স্বীকৃত হয় এবং অসীম ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠে।
ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধের চেয়ে বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব অনেক বেশি কেন?
উত্তর: বক্সারের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে মীর কাসিমের পরাজয় হয়। যার মধ্য দিয়ে বাংলার সার্বভৌমত্ব উদ্ধারের শেষ চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ইংরেজ শক্তি উপমহাদেশে অপ্রতিরোধ্য গতিতে সর্বত্র ক্ষমতার বিস্তার ঘটাতে থাকে। এ কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধের চেয়ে বক্সারের যুদ্ধ গুরুত্ব অনেক বেশি।
মীর জাফর মৃত্যুবরণ করেন কত সালে?
উত্তর: ১৭৬৫ সালে।
মীর কাসিম মৃত্যুবরণ করেন কত সালে?
উত্তর: ১৭৭৭ সালে।