বাংলাদেশের বনজ সম্পদ

বাংলাদেশের বনাঞ্চল কে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

উত্তরঃ ৪ টি ভাগে। যথাঃ ১. পাহাড়ি বনাঞ্চল ২. ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ৩. সমতল এলাকার বনাঞ্চল ৪. গ্রামীন বনাঞ্চল।  

বাংলাদেশের বনভূমি কয়টি অঞ্চলে বিভক্ত?
উত্তরঃ তিনটি।

বাংলাদেশে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু হয় কবে?
উত্তরঃ ১৯৮১ সালে।

বাংলাদেশের সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম সর্বপ্রথম শুরু হয় কোথায় থেকে?
উত্তরঃ চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থেকে।

জাতীয় বননীতি শুরু হয় কবে?
উত্তরঃ ১৯৯৪ সালে।

জাতীয় বননীতি গৃহীত হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৭২ সালে।

বাংলাদেশের মোট বনভূমির পরিমাণ কত?
উত্তরঃ ২.৫২ মিলিয়ন হেক্টর বা ২৫ হাজার বর্গ কিলমিটার।

সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের মোট ভূমির কত শতাংশ বনভূমি?
উত্তরঃ ১৭.৬২ শতাংশ।

FAO এর তথ্য  মতে বাংলাদেশের মোট ভূমির কত শতাংশ বনভূমি?
উত্তরঃ ১০ শতাংশ।

বাংলাদেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কত শতাংশ বনভূমি প্রয়োজন?
উত্তরঃ ২৫ শতাংশ।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় বনভূমি আছে কয়টি জেলায়?
উত্তরঃ ৭ টি জেলায়।

বাংলাদেশের কয়টি জেলায় কোনো রাষ্ট্রীয় বনভূমি নেই?
উত্তরঃ ২৮ টি।

বাংলাদেশের কোন বিভাগে বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
উত্তরঃ চট্টগ্রামে।

বাংলাদেশের বৃহত্তম বনভূমি কোনটি?
উত্তরঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম বনভূমি।

চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ভূমির কত শতাংশ বনভূমি?
উত্তরঃ ৪৩ শতাংশ।

বাংলাদেশের কোন বিভাগে বনভূমির পরিমান সবচেয়ে কম?
উত্তরঃ রংপুর বিভাগে।

বাংলাদেশের কোন জেলায় বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
উত্তরঃ বাগেরহাট জেলায়।

বাগেরহাট জেলার বনভূমির আয়তন কত?
উত্তরঃ ২,৭০৫.৯৫ বর্গ কিলোমিটার।

বাংলাদেশের কয়টি জেলায় উপকূললীয় সবুজ বেষ্টনী বনাঞ্চল তৈরি করা হয়েছে?
উত্তরঃ ১০ টি জেলায়।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু বৃক্ষ কোনটি?
উত্তরঃ বৈলাম।

বৈলাম বৃক্ষের উচ্চতা কত?
উত্তরঃ ২৪০ ফুট বা ৭৩.১৫ মিটার।

বৈলাম বৃক্ষ বাংলাদেশের কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ বান্দরবনের গহিন অরণ্যে।

উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের বনভূমি কত প্রকার?
উত্তরঃ তিন প্রকার। যথাঃ ১. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনভূমি ২. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ  ও পাতাঝরা বনভূমি ৩. স্রোতজ বা উপকূলীয় বনভূমি।

ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনভূমিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তরঃ দুই ভাগে। যথাঃ ১. মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভূমি ২. বরেন্দ্র অঞ্চলের বনভূমি।

মধুপুরের গড় কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও গাজীপুর।

মধুপুর বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ কোনটি?
উত্তরঃ শাল।

শাল বনভূমির আয়তন কত?
উত্তরঃ ২ লাখ ৮১ হাজার ৯৫৩ একর।

শাল বৃক্ষ কি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ গজারী বৃক্ষ।

মধুপুর বনাঞ্চলকে কী ধরণের বন বলা হয়?
উত্তরঃ পত্রঝরা বা পর্ণমোচী বন।

শালবনের অন্য নাম কি?
উত্তরঃ পর্ণমোচী বন।

ক্রান্তীয় পাতাঝরা উদ্ভিদ পাওয়া যায় বাংলাদেশের কোন বনাঞ্চলে?
উত্তরঃ শালবনে।

ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনভূমির উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনভূমির উদ্ভিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য বছরে একবার উদ্ভিদের পাতা সম্পূর্ণ ঝরে  যায়।

ক্রান্তীয় পাতাঝরা উদ্ভিদের বনভূমি কি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ শালবন নামে।

ক্রান্তীয় পাতাঝরা বা শালবনে কি কি উদ্ভিদ পাওয়া যায়?
উত্তরঃ কড়ই, হিজল, বহেরা, হরীতকি, কাঁঠাল, নিম ইত্যাদি।

ক্রান্তীয় পাতাঝরা বন বাংলাদেশে কোন কোন অঞ্চলে বিস্তৃত?
উত্তরঃ টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, রংপুর ও দিনাজপুর।

বাংলাদেশের কোন বিভাগে বরেন্দ্রভূমি অবস্থিত?
উত্তরঃ রাজশাহী।

বরেন্দ্রভূমি বলা হয় কোন অঞ্চলকে?
উত্তরঃ বাংলাদেশের উওরাঞ্চলকে।

চিরহরিৎ বনভূমির উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ চিরহরিৎ উদ্ভিদের পাতা একসাথে ঝরে যায় না এবং পাতা সব সময় সবুজ থাকে।

বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে চিরহরিৎ বনভূমি দেখা যায়?
উত্তরঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু অংশে।

চিরহরিৎ বনভূমির প্রধান উদ্ভিদ গুলো কি কি?
উত্তরঃ কড়ই, শিমুল, গামারি, জারুল, সেগুল ইত্যাদি।

টাইডাল বা স্রোতজ বনভূমি বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ যে বনভূমি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় এবং ভাটার সময় শুকিয়ে যায় সে সকল বনভূমি কে টাইডাল বা স্রোতজ বনভূমি বলে।

বাংলাদেশের টাইডাল বনভূমি কোনটি?
উত্তরঃ সুন্দরবন ও কক্সবাজারের চকোরিয়া বনাঞ্চল।

পৃথিবীর বৃহত্তম টাইডাল বনভূমি কোনটি?
উত্তরঃ সুন্দরবন।

টাইডাল বনভূমিতে কি কি ধরণের বৃক্ষ পাওয়া যায়?
উত্তরঃ সুন্দরী, গরান, পশুর, ধুন্দল, কেওড়া, গোলপাতা ইত্যাদি।

বাংলাদেশের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট কোনটি?
উত্তরঃ সুন্দরবন।

সুন্দরবনের প্রধান উদ্ভিদ কোনটি?
উত্তরঃ সুন্দরী।

সুন্দরবনের প্রধান বনজ সম্পদ কি কি?
উত্তরঃ সুন্দরী, গেওয়া, কেঁওড়া, গরান, ধুন্দল ইত্যাদি।

বাংলাদেশের জাতীয় বনভূমি কোনটি?
উত্তরঃ সুন্দরবন।

সুন্দরবনের অপর নাম কি?
উত্তরঃ গরান বনভূমি।

সুন্দরবনের মোট আয়তন কত?
উত্তরঃ ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।

বাদাবন কোন বনের অপর নাম?
উত্তরঃ সুন্দরবনের।

সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৭৮ সালে।

বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট কোনটি?
উত্তরঃ রাতারগুল ফরেস্ট, সিলেট।

পরিবেশ রক্ষায় ক্ষতিকারক গাছ কোনটি?
উত্তরঃ ইউক্লিপটাস।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঘাস কোনটি?
উত্তরঃ বাঁশ।

বাংলাদেশে বন সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৯০ ও ২০০২ সালে।

বাংলাদেশে পরিবেশ নীতি ঘোষণা করা হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৯২ সালে।

রেলের স্লিপার তৈরিতে কোন গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ গরান।

পেন্সিল তৈরিতে কোন কাঠ ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ ধুন্দল।

বৃক্ষ রোপনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার  কোনটি?
উত্তরঃ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার।

কোন গাছকে সূর্যের কন্যা বলা হয়?
উত্তরঃ তুলা গাছকে।