বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান
নদ-নদীর বিজ্ঞান সম্পর্কিত আলোচনাকে কি বলে?
উত্তরঃ Potomology.
বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর নাম কি?
উত্তরঃ পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্নফুলী, সুরমা ও মধুমতি।
বাংলাদেশের নদ-নদীর মোট দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ২৪,১৪০ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা কত?
উত্তরঃ প্রায় ৭০০ টি।
বাংলাদেশে সারা বছর নাব্য ভ্রমণ নদীপথের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ৫২২১ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
উত্তরঃ সুরমা নদী।
সুরমা নদীর দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ৩৯৯ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী কোনটি?
উত্তরঃ পদ্মা নদী।
পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ৩৬৬ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদ কোনটি?
উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্র নদ।
বাংলাদেশের নদী গুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে কোনটি?
উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্র নদ।
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী প্রণালী কোনটি?
উত্তরঃ সুরমা-মেঘনা নদী প্রণালী।
বাংলাদেশের প্রশস্ত নদী কোনটি?
উত্তরঃ যমুনা নদী।
বাংলাদেশের খরস্রোতা নদী কোনটি?
উত্তরঃ কর্ণফুলী।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম নদীর নাম কি?
উত্তরঃ গোবরা নদী। এটি পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের প্রধান নদী বন্দর গুলো নাম-
উত্তরঃ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল ও খুলনা নদীবন্দর।
বাংলাদেশের প্রধান নদী বন্দর কোনটি?
উত্তরঃ নারায়ণগঞ্জ নৌ বন্দর।
বাংলাদেশের নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ হারুকান্দি, ফরিদপুর।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৭২ সালে।
ভারত-বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য কি?
উত্তরঃ দুই দেশের নদী গুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি।
বাংলাদেশের মোট অভিন্ন বা অন্তসীমান্ত নদী কয়টি?
উত্তরঃ ৫৭ টি। (বাংলাপিডিয়া মতে ৫৮ টি)
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ৫৪ টি। (বাংলাপিডিয়া মতে ৫৫ টি)
ভারত হতে বাংলাদেশে আসা নদীর সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ৫৫ টি।
মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদীর সংখ্যা কয়টি?
উত্তরঃ ৩ টি।
মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদী গুলো কি কি?
উত্তরঃ নাফ, সঙ্গু ও মাতামুহুরী।
মায়ানমার-বাংলাদেশকে বিভক্তকারী নদী কোনটি?
উত্তরঃ নাফ নদী।
নাফ নদীর দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ৫৬ কিলোমিটার।
নাফ নদী বাংলাদেশের কোন জেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে?
উত্তরঃ কক্সবাজার জেলা দিয়ে।
নাফ নদীর উত্তপত্তিস্থল কোথায়?
উত্তরঃ মায়ানমারের আরাকান পর্বতে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী নদীর সংখ্যা কয়টি?
উত্তরঃ ১ টি।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোন নদী প্রবেশ করেছে?
উত্তরঃ কুলিখ নদী।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা কয়টি?
উত্তরঃ ১ টি।
কোন নদী বাংলাদেশের ভিতর দুই ভাগ হয়ে কিছু দূর প্রবাহিত হয়ে পুনরায় মিলিত হয়েছে?
উত্তরঃ মেঘনা নদী।
দুই ভাগ হয়ে মেঘনা কি কি নামে প্রবাহিত হয়?
উত্তরঃ সুরমা ও কুশিয়ারা।
সুরমা ও কুশিয়ারা পুনরায় মিলিত হয়ে কি নাম ধারন করে?
উত্তরঃ কালনি নদী।
কালনি নদী পুনরায় কোথায় মেঘনা নাম ধারণ করে?
উত্তরঃ আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
বাঙালি ও যমুনা নদীর সংযোগ কোথায়?
উত্তরঃ বগুড়া।
পদ্মা ও যমুনা কোথায় মিলিত হয়েছে?
উত্তরঃ গোয়ালন্দ।
বাংলাদেশ হতে ভারতে গিয়ে পুনরায় বাংলাদেশে কোন নদী প্রবেশ করেছে?
উত্তরঃ আত্রাই, মহানন্দ, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদী।
বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও চীনের মধ্য দিয়ে কোন নদী প্রবেশ করেছে?
উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্র নদ।
বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও নেপালের মধ্য দিয়ে কোন নদী প্রবাহিত হয়েছে?
উত্তরঃ গঙ্গা নদী।
গঙ্গা নদী বাংলাদেশে কি নাম ধারণ করেছে?
উত্তরঃ পদ্মা নদী।
পদ্মা নদী মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয় কোথায়?
উত্তরঃ চাঁদপুরে।
যমুনা নদী পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে কোথায়?
উত্তরঃ গোয়ালন্দ।
ভারত-বাংলাদেশকে বিভক্তকারী নদী কোনটি?
উত্তরঃ হাড়িভাঙ্গা নদী।
হাড়িভাঙ্গা নদী কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তরঃ সাতক্ষীরা জেলায়।
দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি কোন নদীর মোহনায় অবস্থিত?
উত্তরঃ হাড়িভাঙ্গা নদীর।
ভারত কোন নদীর উপর ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করেছে?
উত্তরঃ গঙ্গা।
বাকল্যান্ড বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তরঃ বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে।
বুড়িগঙ্গা কোন নদীর শাখা নদী?
উত্তরঃ ধলেশ্বরী নদীর।
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বলা হয় কোন নদী কে?
উত্তরঃ হালদা নদীকে।
হালদা নদীর উৎপত্তি স্থল কোথায়?
উত্তরঃ খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বত শৃঙ্গ থেকে।
বাংলাদেশের জলসীমায় উৎপত্তি ও সমাপ্তি নদী কোনটি?
উত্তরঃ হালদা।
কোন নদী থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছের রেণু পোনা সংগ্রহ করা হয়?
উত্তরঃ হালদা।
চলন বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে কোন নদী?
উত্তরঃ আত্রাই নদী।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ কর্ণফুলী নদীর উপর।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয় কবে?
উত্তরঃ ১৯৬২ সালে।
জোয়ার ভাটা হয় না কোন নদীতে?
উত্তরঃ গোমতী নদীতে।
কুমিল্লার দুঃখ বলা হয় কোন নদীকে?
উত্তরঃ গোমতী নদীকে।
যমুনা নদীর পূর্ব নাম কি?
উত্তরঃ লৌহিত্য।
পদ্মা নদীর পূর্ব নাম কি?
উত্তরঃ কীর্তিনাশা।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের লাইফ লাইন বা জীবন রেখা বলা হয় কোন নদীকে?
উত্তরঃ তিস্তা নদীকে।
পশ্চিমাঞ্চলের লাইফ লাইন বলা হয় কোন নদীকে?
উত্তরঃ পড়াই নদীকে।
মাওয়া ফেরীঘাট কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তরঃ পদ্মা নদীর তীরে।
তিনবিঘা করিডোর কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ তিস্তা নদীর তীরে।
তিস্তা নদী বাংলাদেশের কোন জেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে?
উত্তরঃ নীলফামারী জেলার মধ্য দিয়ে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তরঃ কর্ণফুলী নদীর।
মংলা সমুদ্র বন্দর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তরঃ পশুর নদীর তীরে।
বাংলার সুয়েজ খাল বলা হয় কোন নদীকে?
উত্তরঃ ঝালকাঠির গাবখান নদীকে।
পশ্চিম বাহিনীর নদি বলা হয় কোন নদীকে?
উত্তরঃ বিল ডাকাতিয়াকে।
নদীর নাম অনুসারে নামকরণ জেলা কোনটি?
উত্তরঃ ফেনী।
নদী সিকস্তি কারা?
উত্তরঃ নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত জনগণকে নদী সিকস্তি বলে।
নদী পয়স্তী কারা?
উত্তরঃ নদীতে চর জাগলে যারা চাষাবাদ করতে যায় তারাই নদী পয়স্তী।
এক কিউসেক পানি সমান কত?
উত্তরঃ প্রতি সেকেন্ডে এক ঘন ফুট পানি প্রবাহ।